M Miraz Hossain with Ban Ki Moon

দুই বছর আগে এক অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের অষ্টম মহাসচিব বান কি মুন এম মিরাজ হোসেন নামের এক বাংলাদেশিকে তার বান কি মুন সেন্টার ফর গ্লোবাল সিভিলাইজেশনের যুক্ত করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। গত ১৪ জানুয়ারি সত্যিই বান কি মুন সেন্টার থেকে এম মিরাজ হোসেনের কাছে আসে একটি চিঠি; যেখানে স্বাক্ষর করেছেন স্বয়ং বান কি মুন।

চিঠিতে বলা হয়েছে,

‘সবার জন্য বান কি মুন সেন্টার ফর গ্লোবাল সিভিলাইজেশনে যুক্ত হওয়ার জন্য আপনাকে আমন্ত্রণ।’

এমন চিঠিতে আবেগ আপ্লুত এম মিরাজ হোসেন। তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন,

‘মানুষের জীবনে কিছু মুহূর্ত, ক্ষণ আসে যা কল্পনাতীত। জাতিসংঘের মহাসচিব থাকাকালীন বান কি মুনের সঙ্গে আমার একটি অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছিল। অনুষ্ঠানের এক ফাঁকে উনি হেসে বলেছিলেন তোমাকে আমার ফাউন্ডেশনে যুক্ত করব, রেডি থেকো। ব্যাপারটাকে আমি হাসি-তামাশা হিসেবে নিয়েছিলাম। কিন্তু দুই বছর পর সেই ইনভাইটেশন হাতে পেয়ে আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আসলে যারা এত উচ্চতায় ওঠেন তাদের মুখের কথা এবং তাদের স্মরণশক্তি যে কত প্রখর তা এ থেকেই বোঝা যায়।’

চিঠিতে বান কি মুন ফাউন্ডেশন সম্পর্কে বলা হয়েছে, ফাউন্ডেশনটি সফলতার সঙ্গে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মান উন্নয়নে কাজ করছে। ফাউন্ডেশনটি বয়স, লিঙ্গ, পরিচয়, ধর্ম এবং জাতীয়তা নির্বিশেষে বিশ্বের সবার জন্য মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তির সঙ্গে যুক্ত হয়ে ফাউন্ডেশনটি সামাজিক নানা সমস্যা সমাধানে কাজ করছে।

‘আপনাকে আমাদের প্রতিষ্ঠানে যুক্ত করায় সম্মানিত বোধ করছি। আপনার স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক জ্ঞান আমাদের এগিয়ে যেতে সহায়ক হবে।’

মিরাজ হোসেন তার স্ট্যাটাসে আরও লেখেন,

‘আমার মতো অধমের কথা উনি মনে রেখেছেন এবং তার বান কি মুন সেন্টার ফর গ্লোবাল সিভিলাইজেশনে “টেরিটরি এক্সিকিউটিভ” হিসেবে যোগ দেয়ার জন্য উপযুক্ত মনে করেছেন, সে জন্য আমি প্রথমেই মহান আল্লাহ তায়ালার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ধন্যবাদ জানাচ্ছি বান কি মুনকে এবং তার ফাউন্ডেশনকে।’

বান কি মুন সেন্টার ফর গ্লোবাল ফাউন্ডেশন ভিয়েনা, অস্ট্রিয়ার একটি আধা-আন্তর্জাতিক সংস্থা। কেন্দ্রটি ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে প্রতিষ্ঠিত হয়।

বান কি মুন সেন্টার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তির কাঠামোর মধ্যে
নারী ও তরুণদের ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করে।
ফাউন্ডেশনের প্রকল্পগুলো চারটি স্তরে বিভক্ত। এগুলো হচ্ছে- পরামর্শ, শিক্ষা, নেতৃত্ব এবং শান্তি ও নিরাপত্তা।

মিরাজ হোসেন বাংলাদেশের একজন উদ্যোক্তা; কেয়া কসমেটিকসের পরিচালক। এম জে ট্রেডিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি।

সুত্রঃ NewsBangla24

Tagged With:

1 thought on “বান কি মুন দুই বছর আগের দেওয়া কথা রাখলেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *