ভারত-বাংলাদেশ সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ আয়োজিত ‘ভারত বাংলাদেশ সাহিত্য সংস্কৃতি উৎসব ২০২২’-এ ইন্দিরা গান্ধী স্বর্ণপদক পেলেন বাংলাদেশি লেখক, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী এম মিরাজ হোসেন।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জনকল্যাণ ও সাহিত্যকর্মে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তার হাতে এ স্বর্ণপদক তুলে দেওয়া হয়।
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (অব.) অধ্যাপক ড. পবিত্র সরকার উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও সমাজবিজ্ঞানী মু. নজরুল ইসলাম তামিজি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যসভার সদস্য শুভাশিস চক্রবর্তী। এছাড়াও বাংলাদেশ ও ভারতের বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, গবেষক, রাজনীতিক, সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিকসহ আরও বরেণ্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এ বছর ভারত ও বাংলাদেশের মোট ১৬ জনকে ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত করা হয়।
পুরস্কার প্রাপ্তিতে লেখক এম মিরাজ হোসেন জানান, পুরস্কার প্রাপ্তিতে আমি উচ্ছ্বাসিত ও অনুপ্রাণিত। ইন্দিরা গান্ধী মহীয়সী নারী। তার নামে প্রবর্তিত পুরস্কারটি প্রাপ্তিতে আমি গর্বিত এবং সম্মানিত। পুরস্কারটি আমাকে ভালো লিখতে উৎসাহী করবে। পাঠক এবং শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, সবার উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা আমার সঙ্গে থাকবে বলে আশা করি।
পেশাগত জীবনে এম মিরাজ হোসেন বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রপ্তানি শিল্পে অবদানের জন্য ২০০৮ সালে বাংলাদেশ শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে তাকে সিআইপি ঘোষণা করা হয়। কাজের ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে তিনি লেখালেখি করেন। ইতোমধ্যে তার লেখা তিনটি বই, ‘হাওয়ায় ভেসে হাজার মাইল’, ‘আপন নামা’ ও ‘ব্যাখ্যাতীত’ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তার সম্পাদনায় ‘গল্পের শহরে’ ও ‘প্রাণের কবিতা’ নামে দুইটি গল্প ও কবিতা সংকলনের বই প্রকাশিত হয়েছে।