২০২৩ সালের প্রথম দিকে আমি এভারেস্ট জয় করবো বলে মনস্থির করি। এই নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে জানি, নানারকম শারীরিক জটিলতা থাকায় আমার পক্ষে এই অভিযান সম্পন্ন করা সম্ভব নয়।
তখন সিদ্ধান্ত নিই, এভারেস্টের শীর্ষে না চড়তে পারি, অন্তত বেসক্যাম্প পর্যন্ত যাব। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে পর্বতারোহণ সংশ্লিষ্ট মানুষজনের সাথে আলাপ-আলোচনা করতে গেলে তারা আমাকে জানায়, আমার শারীরিক যে অবস্থা– এই অবস্থা নিয়ে বেসক্যাম্প অভিযানে বের হওয়া মানে যেচে নিজেকে ঝুঁকিতে ফেলা। তাদের পূর্বের সাবধানবাণী মানলেও এবার আর মানতে মন সায় দিলো না।
যাব বলেই ঠিক করি এবং মে মাসের এক সকালে বেরিয়ে পড়ি নেপাল অভিমুখে। নেপালে পা দিতেই টের পাই এই যাত্রা কত কঠিন হতে যাচ্ছে! তারপর সময় গিয়েছে, সেই যাত্রা কঠিন থেকে কঠিনতর হয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে প্রাণসংশয়ের মতো পরিস্থিতির। তবু খোদার রহমতে কেবল অল্প কিছু শারীরিক আঘাত নিয়েই বেঁচে ফিরতে সক্ষম হই।
এই যাত্রা আমাকে নতুন করে জ্ঞান দান করেছে মানুষের শক্তি ও সামর্থ্য সম্পর্কে, খোদার সৃষ্টির বিশালতা ও অনন্যতা সম্পর্কে।
সেই গল্পই বলে গেছি আমি এই বইয়ে। আশা করছি পাঠক তার চেনা ছকের বাইরে গিয়ে এক ভিন্ন বাস্তবতার স্বাদ পাবেন এই বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠায়।