দেশের কসমেটিকস ও টয়লেট্রিজ জগতে অন্যতম জনপ্রিয় এবং স্বনামধন্য একটি প্রতিষ্ঠান কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৯ সাল পর্যন্ত দাপটের সঙ্গে ব্যবসা করলেও এই শিল্পে ধীরে ধীরে তার মার্কেট শেয়ার এবং গ্রহণযোগ্যতা হারাতে থাকে। কোম্পানিটিকে ঘুরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা থেকে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠান নতুন চিন্তা করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেন সোয়েটার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম মিরাজ হোসেনকে। কেয়া কসমেটিকসের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পটা শুরু এখান থেকেই।
তার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রায় ৩০ শতাংশ পণ্য বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে প্রোডাক্ট লাইনে যুক্ত হয়েছে চারটি নতুন পণ্য। যার মধ্যে রয়েছে- লাইফগার্ড হ্যান্ডওয়াশ, কেয়া টেলকম পাউডার, পিওর হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং ইজি ওয়াশ ডিটারজেন। ক্রমাগত কোম্পানির লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যমে বরাবরের মতো এম মিরাজ হোসেন নিজেকে সফল সংগঠক হিসেবে প্রমাণ করেন। এর আগে ২০০৮ সালে তিনি বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক সর্বকনিষ্ঠ সিআইপি হিসেবে ভূষিত হন। এ ছাড়া মিরাজ হোসেন জাতিসংঘের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে এক বছর কানাডাতে যুক্ত ছিলেন। অতীতের দুর্বলতা কাটিয়ে বর্তমানে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড এখন পুরোদমে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমানে কেয়া কসমেটিকসের শেয়ার ‘জেড’ ক্যাটাগরি থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। এখন দেশজুড়ে প্রায় ৪০০-এর অধিক ডিস্ট্রিবিউটর রয়েছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কোম্পানিটি যুক্ত হয়েছে স্বপ্ন, আগোরা এবং ল্যাভেন্ডারের মতো জনপ্রিয় সুপার শপগুলোর সঙ্গে। কেয়া কসমেটিসক ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম প্রিন্টাররেস্ট ইউটিউবসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং অনলাইন মার্কেটপ্লেস উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পারা, সমন্বয়হীনতার অভাব, পণ্যের পোর্টফোলিওতে বৈচিত্র্য না থাকা এবং পণ্যের ডেলিভারির অনিয়মের কারণে কোম্পানিটি তার আগের অবস্থান হারিয়ে ফেলে বলে মনে করা হয়। নতুন নীতি ও কৌশল প্রয়োগ করার মাধ্যমে কোম্পানিকে প্রতিযোগিতায় টিকিয়ে রাখতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।
তথ্যসূত্রঃ সমকাল