বাংলাদেশের কসমেটিকস ও টয়লেট্রিজ জগতে পরিচিত নাম কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড। দেশীয় এ প্রতিষ্ঠানটি ২০০০ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বেশ দাপটের সঙ্গে ব্যবসা করলেও ধীরে ধীরে তার মার্কেট শেয়ার ও গ্রহণযোগ্যতা হারাতে থাকে।
স্থানীয় বিপণন ও পণ্য স্বল্পতার কারণে ২০১৬ সাল পর্যন্ত কোম্পানিটির লোকাল বিক্রয়ের পরিমাণ ছিল বেশ অসন্তোষজনক। ঘুরে দাঁড়ানোর ইচ্ছে থেকে ২০১৭ সালে কোম্পানির চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক এম পি সোয়েটার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম মিরাজ হোসেনকে কেয়া কসমেটিকসের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেন। মূলত এরপর থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে একসময়ের জনপ্রিয় কেয়া কসমেটিকস।
পরিচালক হিসেবে যোগ দিয়ে শুরুতেই কোম্পানির বিভিন্ন বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন এম মিরাজ হোসেন। বাংলাদেশের বাজার পর্যবেক্ষণ করেন, প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতাগুলো খুঁজে বের করে সেগুলো সংশোধনের উদ্যোগ নেন। সেখান থেকেই শুরু হয় দৃশ্যপটের পরিবর্তন। বিদ্যমান ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম, সরবরাহ চেইন, মানবসম্পদ কৌশল ও পরিচালনা পদ্ধতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ক্রমাগত কোম্পানির লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যমে এম মিরাজ হোসেন নিজেকে সফল সংগঠক হিসেবে প্রমাণ করেছেন। এর আগে ২০০৮ সালে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে সিআইপি মর্যাদায় ভূষিত হন। এছাড়াও মিরাজ হোসেন জাতিসংঘের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে এক বছর কানাডাতে যুক্ত ছিলেন। তার নেতৃত্বে অতীতের দুর্বলতা কাটিয়ে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড এখন পুরোদমে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমানে কেয়া কসমেটিকসের শেয়ার জেড ক্যাটাগরি থেকে বি ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। এখন দেশজুড়ে তাদের রয়েছে চার শতাধিক ডিস্ট্রিবিউটর, ২০১৭ সালের আগে যে সংখ্যা ছিল মাত্র ২৫০। কোম্পানিটি যুক্ত হয়েছে স্বপ্ন, আগোরা ও ল্যাভেন্ডারের মতো জনপ্রিয় সুপার শপগুলোর সঙ্গে। কেয়া কসমেটিকস ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন মার্কেটপ্লেসে নিজেদের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে।
সমন্বয়হীনতার অভাব, পণ্যের যথাযথ পোর্টফোলি না থাকা, ডেলিভারিতে অনিয়মসহ যেসব কারণে কোম্পানিটি তার আগের অবস্থান হারিয়েছিল সেগুলোর দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছেন এম মিরাজ হোসেন। সেসব সমাধানের মাধ্যমে এবং নতুন নীতি ও কৌশল প্রয়োগ করে কেয়া কসমেটিকসকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান তিনি।
তথ্যসূত্রঃ আমাদের সময়
1 thought on “এম মিরাজ হোসেনের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে কেয়া কসমেটিকস”